প্রেম আমার| Prem Amar Real Story In Bengali

প্রেম আমার: প্রেম কখন কিভাবে শুরু, পরিবার এবং ব্রেকআপ। 

Prem Amar Real Story In Bengali

অনেকে আমাকে সোশ্যাল মিডিয়া জিজ্ঞাসা করছিল যে আমার জীবনে কি কেউ এসছিল বা তুমি কি কাউকে ভালোবাসতে/ভালোবাসো। এই রকম নানা বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল, তাই আজকে এই পোস্টে প্রেম আমার নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আপনারা সবাই প্রেম আমার কাহিনীর লেখা পড়ার চেষ্টা করবে। এই কাহিনী পাঠকদের উদ্দেশ্যে ছোট একটি সূচনা। আমি আসিক, www.bangarsaad.com ওয়েবসাইটের একজন লেখক। 

প্রেম আমার: প্রেম কখন কিভাবে শুরু

আমার প্রেম কথা আজ থেকে প্রায় ১০ মাসে আগে শুরু হয়, যেই ভালোবাসাটি শুরু হয়ছিল একটি রং নাম্বার দিয়ে। যেখানে আমাকে একজন মেয়ে কল করছিল। যার নাম ছিল; আসা। যেহেতু  মেয়েটির প্রাইভেসি জন্য টাইটেল বলা হচ্ছে না। হয়তো প্রথমে তার কল উঠাইনি, পরে এইভাবে চলতে থাকে। একদিন আমি ভয়েসের মাধ্যমে কথা বলি। পরবর্তীতে আমরা নরমাল কথা বলতে থাকি। এইভাবে কথা বলা চলতে থাকে। পরে একদিন সে আমাকে আমার সম্পর্কে সবকিছু জানতে চাইলো যেমন ধরো: আমি কি করি? আমরা কয় ভাইবোন? আমি বিয়ে করেছি কিনা? আমার বাসা কোথায়? আমার বয়স কত? এইরকম অনেক কিছু। হয়তো প্রথমদিকে আমি আমার সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে চাইছিলাম না। কিন্তু পরবর্তীতে সবকিছু খুলে জানিয়ে দেই, জবাবে আমিও তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। এইভাবে আমারা একের অপর নিয়ে জানাজানি শুরু করি। আমাদের এইভাবে কথা কন্টিনিউ চলতে থাকে। মনে হয় একদিন সে আমাদের সম্পর্কে একটু আগে নিয়ে যেতে চাইছিল। তাই আমাকে জিজ্ঞাসা করতে চাইছিল; তুমি কি হতে চাও? 

তখন আমি বলি ওই সব বাদ দাও কারণটি হল; ততক্ষণে আমি তাকে ভালোবেসেই ফেলেছিলাম। যেহেতু এতদিন ধরে আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল তাই ভালোবেসেই ফেলেছিলাম। আমি কিছু দেরি না করে বলি আমি এই দুইটা থেকে সম্পর্ক আর একটু আগে নিতে চাই, মানে আমাদের সম্পর্কে। আমি কোন কাঠ খড় পোড়াতে আর চাইছিলাম না, তখন তাকে সরাসরি বলি; আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি এবং আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। এই যে আমি তাকে হুড়মুড় করে আই লাভ বলি, কাঠ খড় না পুড়িয়ে যে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে ছিলাম। মানে কোনো কিছু না বুঝে ভালোবাসাতে পা দিয়ে ছিলাম তা আগে একটা মারাত্মক ভুল হয়েছিল, যেটা আমি আগের বলব। তো আমি তাকে ভালোবাসার কথা জানাই, তাকে ভালোবাসতে চাইছিলাম। সে আমাকে ভালোবাসতে চায় কিনা/ জীবন সঙ্গিনী হতে চায় কিনা! এই কথার জবাব গুলমুল দিয়ে থাকে। আপনারা তো জানেন সাধারণত মেয়েরা ওই আই লাভ ইউ শব্দটি গুলমুল করেই জবাব দেয়। অবশেষে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেয়।

ভালোবাসার জবাব দেওয়ার ফলে আমরা একের অপরকে ভালোবাসতে শুরু করলাম। বল যায় যে আমাদের এখানে থেকে ভালোবাসা শুরু হলো। পরবর্তীতে আমরা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে নিজেদের ছবি আদানপ্রদান করি, এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে ও কথা বলতে শুরু করি। একের অপরের সব কিছু বোঝা বুঝি শুরু করি। এইভাবে আমাদের ভালোবাসা চলতে থাকে। আমি তাকে খুব ভালোবাসলাম, যেনো একবেলা তার সাথে কথা না বললে আমার একদমই দিনকাল কাটে না। বলা যায় আমি তার সাথে কথা না বললে একদমই থাকতে পারতাম না। আমার না তার জন্য একদমই মাথা কাজ করত না। তাকে আমি মন - প্রাণ থেকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম। আমি আমার চোখ থেকে একটুর জন্য ও হারাতে চাইতাম না। সে যেনো আমার চোখের সামনে থাকে। আমার লাইফে এটা প্রথম ভালোবাসা ছিলো। আমি আমার জীবনের থেকে অধিক ভালোবেছিলাম।পাগলের মতো ভালোবাসতাম, এমনকি আমি যে একটা কম্পানিতে জব পেয়েছিলাম, যেখানে আমার স্যালারি ছিল প্রায় 50k (পঞ্চাশ হাজার) সেই জব পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। 

কারণ তার প্রেমে পুরো পাগল হয়ে গেছিলাম। আমি কত টাকা মাইনা পেতাম এই কথা বলতে তো চাইছিলাম না। যেহেতু সে এখন ছেড়ে চলে গেছে তাই এই কথা পাবলিক ডোমেইনে রাখলাম। আমার কতটা স্যালারি সে ভালো করেই জানতো, কারণ এই বিষয় নিয়ে সব কিছু তাকে বলে ছিলাম। বলার কারণ তাকে আমি পাগলের মতো ভালোবাসতাম। সে আমার বাবা - মায়ের ভালোবাসার স্থানে ছিলো। বরং বলা যেতে পারে বাবা - মা থেকে অধিক ভালোবাসতাম। তা বলে এটা নয় যে আমি বাবা - মা'কে কম ভালোবাসতাম তা একদমই নয়। আমি বাবা - মা'কেও অনেক ভালোবাসি। যেহেতু বাবা - মা থেকে স্ত্রীর সম্পর্ক একটু উপরে তাই বাবা - মা থেকে অধিক ভালোবাসতাম। এমনিতে বিধির বিধান ও এটাই যে বাবা - মা থেকে একটু অধিক স্ত্রীকে ভালোবাসতে হয়। এটা সকল ধর্মের শিক্ষা তা খ্রিষ্টান হোক বা ইসলাম এমনি হিন্দু পর্যন্ত। আমি ওই হিসাবে তাকে পাগলের মতো ভালোবাসতাম। তার প্রতি আমার ভালোবাসার কোন কমতি/ ঘটতি ছিলো না। 

হয়তো আজকাল স্ত্রীরা বাবা - মায়ের সম্পর্কে ফাটল ধরার জন্য এটাসেটা করে বেড়ায় আর জন্মদাতাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। নিঃসন্দেহে বিয়ে করার পর বাবা - মাকে অবহেলা করা উচিত নয়। এবং নাই বা ওই ধরনের মানষিকতা স্ত্রীদের কথা হিসেবে চলা উচিত। নিজের বাবা - মায়ের মধ্যে মধুর সম্পর্ক রাখার জন্য উপযুক্ত একজন স্ত্রী থাকা দরকার। নচেৎ সম্পর্কে ফাটল ধরবেই।

প্রেম আমার: পরিবার

আমি তাকে পাগলের মতো খুব ভালোবাসতাম। এতো কিছু শুধু তার জন্যেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারণ তাকে ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। মনে রাখবে এখনও আমাদের ভালোবাসা মোবাইলে মাধ্যমেই চলছে সরাসরি বা সামনাসামনি দেখাদেখি হয়নি, যে সে বাস্তবে কেমন দেখতে বা আমিও বাস্তবে কেমন দেখতে তাও একের অপরের ধারণা নাই। বেশ এইভাবে পাগলের মতো ভালোবাসা চলছে। আমি তাকে বিশ্বাস করে ভালোবাসতাম কোনো রুপরং দেখে নয়। সে যেভাবেই হোক আমি তাকে বিশ্বাস করে আপন করতে চেয়েছিলাম। এমনকি আমি তাকে এটাও বলেছিলাম, তুমি যদি হ্যান্ডিক্যাপ হোও তবুও তোমাকে খুশি খুশি গ্ৰহণ করব। একদিন আমার মা খুব অসুস্থ হয়ে যান, ফলে মাকে হাসপাতালে তুলি। অর্থাৎ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেহেতু মাকে খুব ভালোবাসতাম, মা যখন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন, তখন আমার মাথা কাজ করছিলো না। বলা যায় আমি পাগলের মতো হয়ে উঠে ছিলাম। কারণ এমনিতে মা একজন হৃদরোগী ছিলেন। সেইদিন আমার জীবন সঙ্গিনী কল করেছিলো, কিন্তু দুঃখের বশতঃ এটাই যে সেই দিন, কল তুলিনি।

মানে কল দেখেও কল তুলতে পারিনি। কোনো রকম একদিন কেটে যায়, পরে দিন সবকিছু বুঝিয়ে বলে দেই। মা যতদিন হাসপাতালে ছিলেন তা প্রত্যেক দিনের খবর দিতাম। মা সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর আমরা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আসি। আমাদের সব ঠিকই চলছিল। আমিও খুব খুশি ছিলাম যে মা বর্তমান খুব সুস্থ বলে! কিন্তু কি জানি উপরওয়ালা কি চাইছিল তা জানিনা। মা সুস্থ হয়ে যাওয়ার ৩ দিন পর হঠাৎ বাবা এটাসেটা বকাবকি করতে শুরু করল, মানে নিজের কথা নিজেই ভুলে যাচ্ছিল। পরিস্কার কথায় বলা যায় যে, বাবার স্মৃতি শক্তি হারিয়ে যাচ্ছিল। এমনিতে বাবা যখন কথা বলতেন, তখন যেনো কেমন একটা কথা বলতেন। ঔষধ আনা হয়েছিল, বাবা ঔষধ ও সেবন করছিলেন। রাতে বাবার কেমন একটা লাগছিলো, যেনো ভিতরে ভিতরে প্রাণের কোনো শান্তি পাচ্ছিলেন না। তখন আমি সরাসরি অ্যাম্বুলেন্স (গাড়ি) কল করি। বাবা তখন জিজ্ঞাসা করছে গাড়ি কি আসছে..!? আর আমরা কি হাসপাতালে যাবো..!? জবাবে মা বাবাকে বলছে হ্যাঁ, তখন বাবা বলছে ঠিক আছে। 

যেহেতু বাবা সুস্থ প্রায় মতো ছিল, তাই বাবা বলছে; হাসপাতাল যখন যাবো! তাহলে আমি দাঁত ব্রাশ করে নেই। বাবার দাঁত ব্রাশ করা শেষ, এমনকি মুখ ধৌয়া ও শেষ, তখন হঠাৎ ওমনি বাবা তার শরীর ছেড়ে দেয়। এবং কথা বলা বন্ধ করে দেয়। বাবা চিরতরে মতো আমাদের একা এই পৃথিবী থেকে ছেড়ে চলে যান। আমাদের চোখের সামনে সব শেষ হয়ে যায়, বাবা একটুর জন্যেও অ্যাম্বুলেন্স (গাড়ি) অপেক্ষা করতে পারলেন না অর্থাৎ বাবা মৃত্যুবরণ করেন। ডাক্তারের হিসাবে বাবা হার্টঅ্যাটাক হয়ে মারা যান। এই আর্টিকেল লেখার সময় আমার দুই চোখের জল আটকাতে পারছি না যেনো দুই চোখের জল হুহু করে পড়ে যাচ্ছে। বাবা সুস্থ সাভাবিকই ছিলেন। পাড়াপড়শির সবাই বাবাকে খুব ভালোবাসতেন। এবং তিনি খুব পরিশ্রমী ব্যক্তি ছিলেন। যেহেতু আমরা কৃষক পরিবারের সন্তান ছিলাম তাই বাবা কাজকর্ম করা খুব ভালোবাসতেন। বাবা খুব মনমালিন্য ব্যক্তি বিশেষ ছিলেন। আমাদের পাড়াপড়শির লোকজন সবাই বলেন, আমার বাবা কারোর সাথে ঝগড়াঝাটি করতেন না। উঁনি সবার কাছে খুবই মনমালিন্য ব্যক্তি।

বাবার জন্য আমি পুরোটাই ভেঙে পড়ি, কারণ বাবা আমার চোখের সামনে এই পৃথিবী থেকে ছেড়ে চলে যান। আমি বাবার জন্য কিছুই করতে পারিনি, তাই নিজেকে নিজে ক্ষমা করতেই পারছিলাম না। আমি যেই রকম ভেঙে পড়েছি, সেইরকম মাও খুব ভেঙে পড়েছেন। আমরা কে কাকে শান্তনা দিবে কেউ বুঝতে পারছি না। অবশেষে নিজেকে বুঝিয়ে সুজিয়ে কন্ট্রোল করতে হয়। কারণ আমি মা'কে শান্তনা না দিলে মা'ও পুরোটাই ভেঙে পড়ে যাবে। হ্যাঁ, বাস্তবে মা পুরোটাই ভেঙে পড়ে গেছিলো, মায়ে'র ও হার্টঅ্যাটাক মতো অবস্থা হয়েছিল। মা প্রায় কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছিলো। কিন্তু উপরওয়ালার কৃপায় ডাক্তার এনে মা প্রায় ৫ - ৭ মিনিট পর কিছুটা স্বাভাবিক হন। বাবা যেই দিন পৃথিবীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ওই একই দিনে অনেক কিছু শেষ হয়ে যেতে পারতো। সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার এটাই যে মা, হার্টের রোগী ছিলেন, বাবা নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাবা হার্টঅ্যাটাক হয়ে মারা যান। 

কথায় বলা যেতে পারে ভাগ্যের কি পরিহাস! আমি খুব কষ্টের মধ্যে ছিলাম। আমার প্রথম কাজ বা দায়িত্ব ছিলো, নিজেকে সামলানো সাথে মাকে ও সামলানো।

Prem Amar Real Story In Bengali
Photo by Huyen Pham on Unsplash

প্রেম আমার: ব্রেকআপ

এতো কিছু সমস্যার ফলে আমার মাথা কাজ করছিলো না। তাই আমি আমার জীবন সঙ্গিনীর সাথে প্রায় এক সপ্তাহ কথা বলা বন্ধ করে দেই। মানে যাকে মন - প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ছিলাম, ওই মনের মানুষের সাথে। এই এক সপ্তাহে অনেক কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। এই দিকে নিজেকে সামলানো উপর থেকে মা'কে সামলানো এবং কিছু দিনের জন্য মনের মানুষ থেকে কিছুটা দূরে থাকা, কতটা মুশকিল তা হয়তো আপনারা অনুভব করতেই পারছেন। কয়েক দিন আগে মা'কে সুস্থ করে আনলাম, মা সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ বাবা মারা যান। এই দিকে আবার বাবার চিন্তায় আবার মা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, এই অবস্থায় আমি যেনো পাগল হয়ে উঠছি, কি করব? কি না করব! কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। মানষিক ভাবে খুব দুর্বল হয়ে যাই, তাই আমি সেই অবস্থায় সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যেমন; ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রামে, হোয়াটসঅ্যাপ সব কিছু থেকে দূর হয়ে যাই। আমি ওর সাথে এক সপ্তাহ ধরে কথা বলছি না বলে আমিও খুব কষ্টের মধ্যে আছি। 

যেহেতু আমি তাকে খুব বিশ্বাস করি। একদিন ভাবলাম, এতো দিন যখন কথা বলা হয়নি। চলো একটু সোশ্যাল মিডিয়াতে যাই, এবং তার ফেইসবুক আইডিতে যাই। সোশ্যাল মিডিয়া যাওয়ার জন্য একজন বন্ধুর সাহায্য নিলাম। এবং তাকে বললাম, ভাই তোর আইডি থেকে একজন মেয়ের নাম সার্চ কর, আমি একটু তার ফেইসবুক প্রোফাইল দেখতে চাই, সে কিসব পোস্ট করে বলে! যেমনি সার্চ করি, আর সার্চ করে দেখি তার একজন শখের মানুষের প্রোফাইলে ছবি দিয়েছে। আমি ওই প্রোফাইল দেখার সাথে যেনো কারেন্ট শক যেভাবে খাওয়া হয়, সেইভাবে শক খেয়ে যাই। তার ওই শখের মানুষের ছবি দেখে। এতো কষ্ট পেলাম, যা কখনও বলাও সম্ভব নয়। সত্যিই কথা বলতে গেলে এই আর্টিকেল লিখতে গিয়েও চোখের জল পড়ে যাচ্ছে। যেনো লিখতেই পারছি না। ভাইরা/ বন্ধুরা বিশ্বাস করেন খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ তাকে আমি প্রাণের অধিক ভালোবাসতাম। তার জন্যই আমি অনেক কিছু ত্যাগ করেছিলাম। কিন্তু এই কয়েকটি দিনের মধ্যে সে এতো কিছু হয়ে যাবে তা কখনও কল্পনা করতেই পারিনি।

সত্যিই তার শখের মানুষের ছবি দেখে আরও এতো কষ্ট পাই যে, অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলছিলাম আমি আত্মহত্যা করব। কারণ মানষিক ভাবে খুব দুর্বল হয়ে গেছি, সত্যি কথা বলতে গেলে আমি না আর মাথায় এতো টেনশন নিতে পারছিলাম না। আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না, মাথাতে সবসময় ওই খারাপ কথা মানে আত্মহত্যার কথাই আসছে আর যাচ্ছে। এইদিকে মায়ের অবস্থা আবার খারাপ। আমি যখন আত্মহত্যা করতে যাই, তখন বারবার মায়ের কথা মনে পড়ছে যেনো মনে হচ্ছে আমি আমার মায়ের দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাচ্ছি, উপর থেকে আবার বাবাও নেই। অবশেষে উপরওয়ালা কৃপায় আমি এই ভুল কাজ করলাম না। এখান থেকে একটি বিষয় শিক্ষা পাওয়া যায় সকল সমস্যার সমাধান আত্মহত্যা নয়। এবং আত্মহত্যা করা ভুল। আত্মহত্যা কখনও করা উচিত নয়, বরং সমস্যা সমাধানের রাস্তা দেখা উচিত। জীবন অনেক মুল্যবান, জীবন নিজে থেকে কখনও শেষ করা উচিত নয়। যিনি সৃষ্টিকর্তা, তিনিই জীবনের মালিক। হয়তো আমরা এমন এক অবস্থায় চলে আসি, যেখানে নিজেকে বোঝানো খুবই কষ্ট দায়ক। 

কিন্তু তবুও জীবন শেষ করা উচিত নয়। সত্যি আমি, আমার মনের মানুষের জন্য খুবই কেঁদেছি, কারণ সে গোপনে এমনভাবে ধোকা দিবে, তা কখনও বুঝতে পারিনি। আমি যেমনি কয়েকটি দিনের জন্য তার কাছ থেকে দূরে ছিলাম, ওমনি সে তার আসল চেহারা দেখিয়ে দেয়। মজার ব্যাপার আমাদের ভালোবাসা এতোদিন মোবাইলে মাধ্যমেই চলছিল। হয়তো আমরা ভিডিও কলে কথা বলতাম, কিন্তু তবুও আমাদের সামনাসামনি দেখা হয়নি। আমি তাকে বিশ্বাস করে ভালোবেসে ছিলাম। সামনাসামনি দেখা না করার আগেই তার পিছনে অনেক টাকা খরচ করতে শুরু করেছিলাম। আমার মনে হয়, সে আমাকে ভালোবাসতো না, সে শুধু আমার কাছ থেকে কিছু হাতিয়ে নেওয়ার জন্যেই ভালোবাসতো। তার ভালোবাসা মন থেকে ছিলো না। সত্যি আমি তাকে উজাড় করে ভালোবেসে ছিলাম, কিন্তু সে এতটা নিচ তা কখনও কল্পনা করতে পারিনি। এই দিকে বাবাকে হারালাম উপর থেকে মিথ্যা ভালোবাসায় পাগল হয়ে সেটাও হারালাম। আমার ভালোবাসা কখনও মিথ্যা ছিলো না। আমি তাকে প্রাণের চেয়ে অধিক ভালোবাসতাম।

উপসংহার

প্রেম আমার কাহিনী থেকে একটা জিনিস শিক্ষা পাওয়া গেলো, যে কখনও রং নাম্বারে ভালোবাসায় জড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। নচেৎ আমার মতোন আপনাকে পোস্তাতে হবে, উপর থেকে আপনার সঞ্চয় কথা অর্থ অপচয় হতেও পারে কারণ আজকাল ভালোবাসা একটা সস্তা বাজার হয়ে গেছে। ভালোবাসার ঢং দেখিয়ে আপনাকে প্রতারণা করা যেতে পারে, এমনকি মিথ্যা ভালোবাসায় পাগল হয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিতে পারেন। তাছাড়া এখান থেকে একটা বিষয় শিক্ষা পাওয়া যায় সমস্যার সমাধান আত্মহত্যা নয়। আমার প্রিয়তমা উদ্দেশ্যে ছোট একটি মেসেজ; ওই জান শুনো, তুমি যেখানে থাকো সুখী থাকো। তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই, কারণ ভুল আমি ছিলাম। তুমি তো নয়, কারণ ভালো আমি বেসে, তুমি তো নও। আমাদের সামনাসামনি দেখা না হওয়ার আগেই দূর হয়ে গেলে। দূরে মানুষ, আমি দূরেই থেকে গেলাম।” হায়রে! ভালোবাসা..!!💔💔

নোট: এই আর্টিকেল লিখতে আমার প্রায় তিন ঘণ্টার অধিক সময় লেগেছে। কারণ যখন আর্টিকেল লিখছিলাম, তখন বাবাকে খুব মনে পড়ছিল উপর থেকে আমার ভালোবাসাকে মনে পড়ছিল। কষ্টের মধ্যে এই প্রেম আমার কাহিনী লিখতে হয়েছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ